রাষ্ট্রায়ত্ত দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে চলছে ভয়াবহ বদলী বাণিজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯-২-২০২৫ দুপুর ৩:৪
রাষ্ট্রায়ত্ত দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক জনতা ব্যাংক পিএলসিতে চলছে ভয়াবহ বদলী বাণিজ্য
২০২৪ সালে ব্যাংকটি লোকসান দিয়েছে ২০৫০ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে খেলাপী ঋণের হার ছিল ৬২% যা জানুয়ারি মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭% । নতুন লোন প্রদান একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। লোন প্রদান বন্ধ থাকায় কারো কারো বাড়তি ইনকামের সুযোগও কমে গেছে। বিকল্প হিসেবে শুরু হয়েছে স্টাফ গৃহ নির্মাণ ঋণের ফাইল আটকে ঘুষ খাওয়া এবং বদলী বাণিজ্য। বিগত ০৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বদলী বাণিজ্যের ধরন পাল্টেছে।প্রথমে শুরু হয় ব্যক্তিগত যোগাযোগ, হুমকি ধামকি এবং ভয়ভীতির মাধ্যমে টাকা আদায়। সেটা কাজ না করলে ফ্যাসিবাদের দোসর বা আওয়ামী আমলের এমডির প্রেতাত্মা আখ্যা দিয়ে দূরবর্তী কোথাও বদলী করে দেয়া হয়। বিপাকে পড়ে, পরিবারের কষ্টের কথা চিন্তা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে পূর্বের কর্মস্থলে বা আশেপাশে বদলী হয়ে আসতে বাধ্য হয়। বদলী বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন ডিএমডি মোঃ ফয়েজ আলম এবং তাকে একাজে উদ্বুদ্ধ ও সহযোগিতা করছেন ডিজিএম মোঃ মুশফিকুর রহমান, এসপিও শাহ জাহান, ম্যানেজার সাইফুল আবেদীন তালুকদার,পিও মোঃ ইকবাল হোসেন এবং পিও মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলে শোনা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি ব্যাংকের এমডি মোঃ মুজিবুর রহমান দেশের বাইরে থাকার সুযোগে তারা বিএনপির প্যাড ব্যবহার করে ৬৫ জন কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করে ডিএমডি ফয়েজ আলমের নিকট দুরবর্তী স্থানে বদলীর জন্য জমা দেয়। বিষয়টি এমডি'র কানে পৌঁছলে প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের ভিতর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৯-২-২০২৫ দুপুর ৩:৪
২০২৪ সালে ব্যাংকটি লোকসান দিয়েছে ২০৫০ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে খেলাপী ঋণের হার ছিল ৬২% যা জানুয়ারি মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭% । নতুন লোন প্রদান একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। লোন প্রদান বন্ধ থাকায় কারো কারো বাড়তি ইনকামের সুযোগও কমে গেছে। বিকল্প হিসেবে শুরু হয়েছে স্টাফ গৃহ নির্মাণ ঋণের ফাইল আটকে ঘুষ খাওয়া এবং বদলী বাণিজ্য। বিগত ০৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বদলী বাণিজ্যের ধরন পাল্টেছে।প্রথমে শুরু হয় ব্যক্তিগত যোগাযোগ, হুমকি ধামকি এবং ভয়ভীতির মাধ্যমে টাকা আদায়। সেটা কাজ না করলে ফ্যাসিবাদের দোসর বা আওয়ামী আমলের এমডির প্রেতাত্মা আখ্যা দিয়ে দূরবর্তী কোথাও বদলী করে দেয়া হয়। বিপাকে পড়ে, পরিবারের কষ্টের কথা চিন্তা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে পূর্বের কর্মস্থলে বা আশেপাশে বদলী হয়ে আসতে বাধ্য হয়। বদলী বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন ডিএমডি মোঃ ফয়েজ আলম এবং তাকে একাজে উদ্বুদ্ধ ও সহযোগিতা করছেন ডিজিএম মোঃ মুশফিকুর রহমান, এসপিও শাহ জাহান, ম্যানেজার সাইফুল আবেদীন তালুকদার,পিও মোঃ ইকবাল হোসেন এবং পিও মোঃ ছানোয়ার হোসেন বলে শোনা যাচ্ছে। অতি সম্প্রতি ব্যাংকের এমডি মোঃ মুজিবুর রহমান দেশের বাইরে থাকার সুযোগে তারা বিএনপির প্যাড ব্যবহার করে ৬৫ জন কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করে ডিএমডি ফয়েজ আলমের নিকট দুরবর্তী স্থানে বদলীর জন্য জমা দেয়। বিষয়টি এমডি'র কানে পৌঁছলে প্রক্রিয়াটি স্থগিত হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের ভিতর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।