শিরোনামঃ
বিআরটি এর ভাতিজা রফিকও বহাল তবিয়তে কে এই প্রতারক নাহিদ, পরিচয় ও তার পেশা কি জুড়ীতে অবৈধ স’মিল মালিকের বিদ্যুৎ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘুষের অভিযোগ তারেক রহমানের নির্দেশনা অমান্য করে সাজুর মোটরসাইকেল শোডাউনে হতাশ নেতাকর্মীরা এলজিইডির প্রশাসনিক শাখার কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান ও স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মান্দায় ভূয়া প্রকল্পের নামে অর্থ হরিলুটের অভিযোগ রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ দুর্নীতির বরপুত্র মঞ্জুর আলী পর্ব -১ প্রকল্প শুরু হতেই শত কোটি টাকা পিডি মঞ্জুর আলীর পকেট পিডি মঞ্জুর আলী আউটসোর্সিং নিয়োগের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

কে এই প্রতারক নাহিদ, পরিচয় ও তার পেশা কি

#
news image

কে এই নাহিদ ? কি তার পরিচয়, কি তার পেশা ? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে ভয়ঙ্কর সব প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে। দরিদ্র ঘরে জন্ম হলেও শিক্ষা- দীক্ষার ধারে কাছে নাই। তারপরেও নিজেকে উচ্চশিক্ষিত পরিচয় দিয়ে কোটিপতির মত চলাফেরা তার। অল্প সময়ে দেশের উচ্চ শিক্ষিত ও সুন্দরী ধনাঢ্য তরুনী ও নারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাশবহুল জীবনজাপন করেন। থাকেন রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় প্রায় লাখ টাকার ভাড়া বাড়িতে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারক নাহিদ কখনো পরিচয় দেন ছাত্র, কখনো আবার সরকারি চাকুরজীবি, আবার কখোনো জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)’-এর কর্মকর্তা কখনো বা বড় ব্যবসায়ী। এছাড়া আরো জানা গেছে, তার মা ইয়াবাসহ নানা রকম মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এমনকি একাধিক নারীকে ব্লাকমেইল করার কারণে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, রাজধানীর আগারগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায় জেল খেটেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে গত প্রায় ৮ বছর ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতারণা করে যাচ্ছে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রতারক নাহিদ উচ্চ শিক্ষিত অর্থশালী নারীদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা তৈরী করেছে। এরপর তাদেরকে ব্লাক মেইল করে কোটিপতি বনে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে। 

আরো জানা গেছে, রাজধানীর শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে ঐশী নামের সুন্দরী নারীকে নিয়ে থাকেন। পরে তাকে বিয়ে করে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নামে প্রতারণা করেন। শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সেখানে সুন্দরী নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ ছাড়াও বিদেশ থেকে আসা ও বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকার দামী দামী চোরা মোবাইল সেট ও স্বর্ন পাচার করে ব্যবসা করছেন। শুধু প্রতারক নাহিদই নয়, তার ছোট ভাই এবং মা এই প্রতারণার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। 

তাছাড়া, মো. মনিরুল ইসলাম, পিতা মোজ্জাফর, দর্শনা থানার শ্যামপুর থানার পাইপঘাট। ব্যবসার পরিচয়ে সূত্রে নাহিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। চোরাই মোবাইল কেনাবেচার সূত্রে গত ১৫/১১/২০২৫ ইং তারিখ, প্রতারক নাহিদের নামে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেছেন, গত ১৩/১১/২০২৫ ইং তারিখ ডাচ বাংলা ব্যাংকের তার একাউন্ট হতে প্রতারক নাহিদ এর একাউন্টে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। এখন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছেন। মনিরুল এখন টাকার চিন্তায় দিসেহারা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী হারুন শরিফ (সৌরভ) জানান, আমি সহ এলাকার বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে প্রতারক নাহিদ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জাকির ও তার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নিয়েছে ১ লাখ টাকা। তার এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান,  প্রতারক নাহিদের  বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানীর সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালামাল পাচার করছে। বেনাপোল ও হিলিস্থল বন্দর সীমান্তে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়মিত স্বর্ন পাচার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে তার গোটা পরিবার জড়িত রয়েছে। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহয়তায় তিনি তার কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৫-১১-২০২৫ রাত ১১:১

news image

কে এই নাহিদ ? কি তার পরিচয়, কি তার পেশা ? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে ভয়ঙ্কর সব প্রতারণার তথ্য পাওয়া গেছে। দরিদ্র ঘরে জন্ম হলেও শিক্ষা- দীক্ষার ধারে কাছে নাই। তারপরেও নিজেকে উচ্চশিক্ষিত পরিচয় দিয়ে কোটিপতির মত চলাফেরা তার। অল্প সময়ে দেশের উচ্চ শিক্ষিত ও সুন্দরী ধনাঢ্য তরুনী ও নারীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। এরপর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিলাশবহুল জীবনজাপন করেন। থাকেন রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় প্রায় লাখ টাকার ভাড়া বাড়িতে। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারক নাহিদ কখনো পরিচয় দেন ছাত্র, কখনো আবার সরকারি চাকুরজীবি, আবার কখোনো জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)’-এর কর্মকর্তা কখনো বা বড় ব্যবসায়ী। এছাড়া আরো জানা গেছে, তার মা ইয়াবাসহ নানা রকম মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। এমনকি একাধিক নারীকে ব্লাকমেইল করার কারণে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর, রাজধানীর আগারগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সেই মামলায় জেল খেটেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে গত প্রায় ৮ বছর ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতারণা করে যাচ্ছে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, প্রতারক নাহিদ উচ্চ শিক্ষিত অর্থশালী নারীদের টার্গেট করে ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা তৈরী করেছে। এরপর তাদেরকে ব্লাক মেইল করে কোটিপতি বনে গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদের নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ছাড়াও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে। 

আরো জানা গেছে, রাজধানীর শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে ঐশী নামের সুন্দরী নারীকে নিয়ে থাকেন। পরে তাকে বিয়ে করে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার নামে প্রতারণা করেন। শুধু তাই নয়, তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকাও হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সেখানে সুন্দরী নারীদের দিয়ে অসামাজিক কাজ ছাড়াও বিদেশ থেকে আসা ও বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন এলাকার দামী দামী চোরা মোবাইল সেট ও স্বর্ন পাচার করে ব্যবসা করছেন। শুধু প্রতারক নাহিদই নয়, তার ছোট ভাই এবং মা এই প্রতারণার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। 

তাছাড়া, মো. মনিরুল ইসলাম, পিতা মোজ্জাফর, দর্শনা থানার শ্যামপুর থানার পাইপঘাট। ব্যবসার পরিচয়ে সূত্রে নাহিদের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। চোরাই মোবাইল কেনাবেচার সূত্রে গত ১৫/১১/২০২৫ ইং তারিখ, প্রতারক নাহিদের নামে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে বলেছেন, গত ১৩/১১/২০২৫ ইং তারিখ ডাচ বাংলা ব্যাংকের তার একাউন্ট হতে প্রতারক নাহিদ এর একাউন্টে মোট ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। এখন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে রেখেছেন। মনিরুল এখন টাকার চিন্তায় দিসেহারা হয়েছে। 

ভুক্তভোগী হারুন শরিফ (সৌরভ) জানান, আমি সহ এলাকার বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে প্রতারক নাহিদ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জাকির ও তার আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে নিয়েছে ১ লাখ টাকা। তার এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান,  প্রতারক নাহিদের  বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানীর সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালামাল পাচার করছে। বেনাপোল ও হিলিস্থল বন্দর সীমান্তে শক্তিশালী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়মিত স্বর্ন পাচার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে তার গোটা পরিবার জড়িত রয়েছে। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহয়তায় তিনি তার কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন।