শিরোনামঃ
রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল এনবিআরের কর পরিদর্শক সাইদুর রহমানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ: কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে আইটিআইআইইউ দুর্নীতির বরপুত্র মঞ্জুর আলী পর্ব -১ প্রকল্প শুরু হতেই শত কোটি টাকা পিডি মঞ্জুর আলীর পকেট পিডি মঞ্জুর আলী আউটসোর্সিং নিয়োগের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা জুড়ীতে যুবলীগ নেতাকে থানা থেকে ছাড়াতে বিএনপির সভাপতি মাসুম রেজার তদবির বিজিবি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর অভিযোগ সেনাবাহিনীর মধ্যে থাকা 'ফ্যাসিস্ট এজেন্টদের' বিচার দাবি বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা স্বৈরাচার সরকারের দোসর শিতাংশু-আলামিন সিন্ডিকেটের কাছে সেবা প্রত্যাশিরা জিম্মি আল আমিনসহ পালিয়ে যাওয়ার চেস্টার অভিযোগ, বিআরটিএ পরিচালক শীতাংশুর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

পিডি মঞ্জুর আলী আউটসোর্সিং নিয়োগের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা

#
news image

* উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে  নিয়োগের পাঁয়তারা
* টাকা কালেকশন করছে তার ভাই রাজু
* মো. মঞ্জুর আলীর চাকরি আছে ৮দিন
* পাঁচকোটি টাকার ঘুষ লেনদেন
* চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে ভুল বুঝিয়ে শেষ রক্ষা
* দুদকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দেয়ার পরিকল্পনা

আগারগাঁও এলজিইডি অধিদপ্তরের রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি)-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. মঞ্জুর আলীর বিরুদ্ধে আউটসোর্সিংয়ে লোক নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আরইউটিডিপি প্রকল্পটিতে প্রায় ২০০ জন আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং এই সুযোগে পিডি শত শত চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ থেকে ৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মো. মঞ্জুর আলী আর মাত্র আট দিন অফিস করবেন, এরপরই তিনি অবসরে যাবেন। এর ফাঁকেই তিনি প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ৪২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুনে শুরু হয়েছে, যা ২০৩০ সালের জুনে শেষ হবার কথা রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, আরইউটিডিপির পিডি মো. মঞ্জুর আলী নাম সর্বস্ব একটি আউটসোর্সিং কোম্পানির সাথে যোগসাজেশে ২০০ জন লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন, কিন্তু এই দুর্নীতিবাজ পিডি তাঁর ভাই রাজুর মাধ্যমে শত শত মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা শুরু করেছেন। কিশোরগঞ্জের চাকরি প্রত্যাশী আলী হোসেন বলেন, আরইউটিডিপি প্রকল্পে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগের জন্য প্রকল্প পরিচালকের ভাই রাজুর কাছে তিনি প্রায় দুই মাস আগে ২ লাখ টাকা দিয়েছেন, কিন্তু এখনও চাকরি পাননি। চাকরির কথা বললে রাজু বলেন, "এই তো চাকরি হয়ে যাবে।" কিন্তু এলজিইডিতে গিয়ে তিনি অন্য কথা শুনছেন; প্রকল্পের লোকজন বলছে, পিডি স্যার আর মাত্র আট দিন আছেন, এরপরই অবসরে চলে যাবেন। এতে তাঁদের চাকরির কী হবে তা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তাঁর জানা মতে প্রায় ২০০ জন লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। ভোলা জেলার সবুজ নামের আরেকজন সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে চাকরি প্রত্যাশী, তিনি জানান চাকরির জন্য তিনি আরইউটিডিপি প্রকল্পে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে এক দালালের সাথে তাঁর পরিচয় হয়, যিনি তাঁকে প্রকল্প পরিচালকের ভাই রাজুর কাছে নিয়ে যান এবং পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর পিডি’র ভাই পরিচয়ে তাঁর কাছে চাকরি দেয়ার নামে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। সবুজ প্রায় এক মাস আগে তাঁকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন, কিন্তু চাকরি এখনো কনফার্ম হয়নি। এর মধ্যে শুনছেন, পিডির চাকরি আর মাত্র আট দিন আছে। এভাবে শুধু একজন বা দুইজন নয়, শত শত মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঞ্জুর আলী অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির লোক বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাবেদ করিমকে অনুনয় বিনয় করে ভুল বুঝিয়ে চাকরির শেষ সময়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মঞ্জুর আলী ও তাঁর ভাই রাজু। মঞ্জুর আলী তাঁর গোপন আস্তানায় বসেই কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই সব চূড়ান্ত করছেন। এলজিইডির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছে, প্রকল্প পরিচালক ও তাঁর ভাই রাজুর অপরাধ ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মঞ্জুর আলীর অফিসের এক কর্মকর্তা ‘দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, কোনো কারণে যদি নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায় বা পিডি মঞ্জুর আলী অবসরের আগে নিয়োগ দিতে না পারেন, তবে পিডি ও তাঁর ভাই রাজুর বিরুদ্ধে লোকজন এলজিইডির সামনে মানববন্ধন করলে তখন বুঝা যাবে কার কার নিকট থেকে তাঁরা টাকা নিয়েছে। এলজিইডির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, যত লোক নিয়োগ দেওয়া হবে তার দ্বিগুণ লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সবাই চাকরি পাবে না। দৈনিক সকালের সময় অনুসন্ধান করতে প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর আলীর অফিসে গিয়ে তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি। বরং তিনি ‘দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, "এগুলো আমার ব্যক্তিগত বিষয়।" সরকারি অফিস কীভাবে তাঁর ব্যক্তিগত হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি তাঁর অফিস পিয়নকে ডেকে সাংবাদিকের সামনে পিয়নকে বিভিন্ন ভাষায় ধমক দেন, কীভাবে তাঁর রুমে সাংবাদিক ঢুকলো। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে কোন কোন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করছে, জানতে চাইলে তিনি শুধু অবাক হয়ে সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সাংবাদিকরা যখন বলেন, তাঁর মনোনীত লোকজন আগে থেকেই আউটসোর্সিং কোম্পানির নিয়োগের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে, তিনি তখন কোনো প্রকার উত্তর না দিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান।

নিজস্ব প্রতিবেদক

৪-১০-২০২৫ রাত ১০:৬

news image

* উপদেষ্টার নাম ভাঙ্গিয়ে  নিয়োগের পাঁয়তারা
* টাকা কালেকশন করছে তার ভাই রাজু
* মো. মঞ্জুর আলীর চাকরি আছে ৮দিন
* পাঁচকোটি টাকার ঘুষ লেনদেন
* চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে ভুল বুঝিয়ে শেষ রক্ষা
* দুদকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দেয়ার পরিকল্পনা

আগারগাঁও এলজিইডি অধিদপ্তরের রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (আরইউটিডিপি)-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. মঞ্জুর আলীর বিরুদ্ধে আউটসোর্সিংয়ে লোক নিয়োগের নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আরইউটিডিপি প্রকল্পটিতে প্রায় ২০০ জন আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং এই সুযোগে পিডি শত শত চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২ থেকে ৫ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন। প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মো. মঞ্জুর আলী আর মাত্র আট দিন অফিস করবেন, এরপরই তিনি অবসরে যাবেন। এর ফাঁকেই তিনি প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ৪২ লাখ ৫০ হাজার ডলারের প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুনে শুরু হয়েছে, যা ২০৩০ সালের জুনে শেষ হবার কথা রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা গেছে, আরইউটিডিপির পিডি মো. মঞ্জুর আলী নাম সর্বস্ব একটি আউটসোর্সিং কোম্পানির সাথে যোগসাজেশে ২০০ জন লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন, কিন্তু এই দুর্নীতিবাজ পিডি তাঁর ভাই রাজুর মাধ্যমে শত শত মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতারণা শুরু করেছেন। কিশোরগঞ্জের চাকরি প্রত্যাশী আলী হোসেন বলেন, আরইউটিডিপি প্রকল্পে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগের জন্য প্রকল্প পরিচালকের ভাই রাজুর কাছে তিনি প্রায় দুই মাস আগে ২ লাখ টাকা দিয়েছেন, কিন্তু এখনও চাকরি পাননি। চাকরির কথা বললে রাজু বলেন, "এই তো চাকরি হয়ে যাবে।" কিন্তু এলজিইডিতে গিয়ে তিনি অন্য কথা শুনছেন; প্রকল্পের লোকজন বলছে, পিডি স্যার আর মাত্র আট দিন আছেন, এরপরই অবসরে চলে যাবেন। এতে তাঁদের চাকরির কী হবে তা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, তাঁর জানা মতে প্রায় ২০০ জন লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। ভোলা জেলার সবুজ নামের আরেকজন সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে চাকরি প্রত্যাশী, তিনি জানান চাকরির জন্য তিনি আরইউটিডিপি প্রকল্পে আবেদন করেছেন। এরই মধ্যে এক দালালের সাথে তাঁর পরিচয় হয়, যিনি তাঁকে প্রকল্প পরিচালকের ভাই রাজুর কাছে নিয়ে যান এবং পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর পিডি’র ভাই পরিচয়ে তাঁর কাছে চাকরি দেয়ার নামে তিন লাখ টাকা দাবি করেন। সবুজ প্রায় এক মাস আগে তাঁকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন, কিন্তু চাকরি এখনো কনফার্ম হয়নি। এর মধ্যে শুনছেন, পিডির চাকরি আর মাত্র আট দিন আছে। এভাবে শুধু একজন বা দুইজন নয়, শত শত মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। মঞ্জুর আলী অত্যন্ত ধূর্ত প্রকৃতির লোক বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাবেদ করিমকে অনুনয় বিনয় করে ভুল বুঝিয়ে চাকরির শেষ সময়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মঞ্জুর আলী ও তাঁর ভাই রাজু। মঞ্জুর আলী তাঁর গোপন আস্তানায় বসেই কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই সব চূড়ান্ত করছেন। এলজিইডির একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছে, প্রকল্প পরিচালক ও তাঁর ভাই রাজুর অপরাধ ঢাকতে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে চাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মঞ্জুর আলীর অফিসের এক কর্মকর্তা ‘দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, কোনো কারণে যদি নিয়োগ বন্ধ হয়ে যায় বা পিডি মঞ্জুর আলী অবসরের আগে নিয়োগ দিতে না পারেন, তবে পিডি ও তাঁর ভাই রাজুর বিরুদ্ধে লোকজন এলজিইডির সামনে মানববন্ধন করলে তখন বুঝা যাবে কার কার নিকট থেকে তাঁরা টাকা নিয়েছে। এলজিইডির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, যত লোক নিয়োগ দেওয়া হবে তার দ্বিগুণ লোকজনের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সবাই চাকরি পাবে না। দৈনিক সকালের সময় অনুসন্ধান করতে প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুর আলীর অফিসে গিয়ে তাঁর নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি। বরং তিনি ‘দৈনিক সকালের সময়’কে বলেন, "এগুলো আমার ব্যক্তিগত বিষয়।" সরকারি অফিস কীভাবে তাঁর ব্যক্তিগত হয় এমন প্রশ্ন করলে তিনি তাঁর অফিস পিয়নকে ডেকে সাংবাদিকের সামনে পিয়নকে বিভিন্ন ভাষায় ধমক দেন, কীভাবে তাঁর রুমে সাংবাদিক ঢুকলো। সাংবাদিকরা তাঁর কাছে কোন কোন আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করছে, জানতে চাইলে তিনি শুধু অবাক হয়ে সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। সাংবাদিকরা যখন বলেন, তাঁর মনোনীত লোকজন আগে থেকেই আউটসোর্সিং কোম্পানির নিয়োগের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে, তিনি তখন কোনো প্রকার উত্তর না দিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে যান।