শিরোনামঃ
৭ দিনের আলটিমেটামের বিষয় স্পষ্ট করে যা জানাল আদানি অতিরিক্ত সচিবের বাসায় মিললো কোটি টাকা, ১১ আইফোন নিজ্জার হত্যায় অমিত শাহ জড়িত, অভিযোগ কানাডার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে নতুন ভোটার তালিকা তৈরিতে সময় লাগবে ১০ মাস আজ ঢাকা আসছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি বার্গ বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর সম্পূর্ণ সমর্থন দেবে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার ১০ মামলা হাইকোর্টে বাতিল ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশের দায়ে ইনকিলাবের সম্পাদক ও রিপোর্টারের বিরুদ্ধে ৫ হাজার কোটি টাকার মানহানির মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন করলেন আসিফ নজরুল

ভারতীয় লাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি পেল নেপাল

#
news image

ভারতীয় ভূখণ্ড ও অবকাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির নেপালের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে এই সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে রাজি হয়েছে ভারত।

ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় ভারত প্রথমবারের মতো এই ধরনের চুক্তিতে রাজি হওয়ায় বিদ্যুৎ বাণিজ্য উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের মধ্যে আলোচনার সময় ভারতীয় পক্ষ নেপালকে ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার জন্য ভারত ও নেপাল পারস্পরিক যোগাযোগ, জলবিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম অবকাঠামো, আন্তঃসীমান্ত লেনদেন ব্যবস্থা ও সমন্বিত তল্লাশি চৌকি নির্মাণ সংক্রান্ত সাতটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

উভয়পক্ষ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভারত থেকে নেপালের বিভিন্ন শহরে বিমান যোগাযোগ চালু করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা বলেছেন, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ট্রানজিট করে যাতে বাংলাদেশে যেতে পারে, সেটিই আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেছেন, জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা শুধু ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে নয়, বরং পুরো অঞ্চলের সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি যদি বিদ্যুৎ সহযোগিতার দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেও এটি একই রকম রয়েছে। ভারত ও নেপাল এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে কথা বলেছে।

ভারতীয় এই পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, আঞ্চলিক সংযোগকে জোরদার করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ব্যবহারের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে এটিই প্রথম কোনো পদক্ষেপ।

বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল বলেন, শিগগিরই নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু হবে। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপালের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের অনুমতির জন্য গত কয়েক বছর ধরে নয়াদিল্লিকে চাপ দিয়ে আসছিল ঢাকা ও কাঠমান্ডু। এতদিন ধরে নয়াদিল্লির সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল উভয়পক্ষ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন।

গত মে মাসের মাঝের দিকে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদের ঢাকা সফরের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিকে নেপালের জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সূত্র: পিটিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

২-৬-২০২৩ দুপুর ১১:৩৯

news image

ভারতীয় ভূখণ্ড ও অবকাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রির নেপালের প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছে নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল ওরফে প্রচণ্ড ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে এই সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় চুক্তিতে রাজি হয়েছে ভারত।

ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থায় ভারত প্রথমবারের মতো এই ধরনের চুক্তিতে রাজি হওয়ায় বিদ্যুৎ বাণিজ্য উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের মধ্যে আলোচনার সময় ভারতীয় পক্ষ নেপালকে ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করার জন্য ভারত ও নেপাল পারস্পরিক যোগাযোগ, জলবিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম অবকাঠামো, আন্তঃসীমান্ত লেনদেন ব্যবস্থা ও সমন্বিত তল্লাশি চৌকি নির্মাণ সংক্রান্ত সাতটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

উভয়পক্ষ রেলওয়ে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি ভারত থেকে নেপালের বিভিন্ন শহরে বিমান যোগাযোগ চালু করার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কাত্রা বলেছেন, নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ভারতীয় গ্রিডের মাধ্যমে ট্রানজিট করে যাতে বাংলাদেশে যেতে পারে, সেটিই আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেছেন, জলবিদ্যুৎ সহযোগিতা শুধু ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে নয়, বরং পুরো অঞ্চলের সহযোগিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি যদি বিদ্যুৎ সহযোগিতার দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেও এটি একই রকম রয়েছে। ভারত ও নেপাল এই বিষয়ে ব্যাপকভাবে কথা বলেছে।

ভারতীয় এই পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, আঞ্চলিক সংযোগকে জোরদার করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসাবে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বাণিজ্যের ব্যবহারের চমৎকার সুযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে এটিই প্রথম কোনো পদক্ষেপ।

বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল বলেন, শিগগিরই নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু হবে। একই সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হবে।

ভারতীয় ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে নেপালের বিদ্যুৎ বাণিজ্যের অনুমতির জন্য গত কয়েক বছর ধরে নয়াদিল্লিকে চাপ দিয়ে আসছিল ঢাকা ও কাঠমান্ডু। এতদিন ধরে নয়াদিল্লির সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় ছিল উভয়পক্ষ।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন।

গত মে মাসের মাঝের দিকে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদের ঢাকা সফরের সময়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানিকে নেপালের জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সূত্র: পিটিআই