নির্ঘূম রাত কাটছে শরণখোলাবাসীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
২-৬-২০২৩ দুপুর ১১:৫০
নির্ঘূম রাত কাটছে শরণখোলাবাসীর
দিনের বেলায় আসা-যাওয়ার তালে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে ১১টা পর্যন্ত মাঝে মধ্যে উঁকি মারে। রাত গভীর হলেই নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। তখন আর দেখা মেলে না বিদ্যুতের। দিন-রাত মিলিয়ে গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটাছে বাগেরহাটের শরণখোলাবাসীর।
একদিকে প্রচন্ড দাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। উপজেলা সদরে দিন-রাত মিলিয়ে লোডশেডিং ৭ থেকে ৮ ঘন্টা হেলও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। কোনো কোনো গ্রামে ১০ থেকে ১২ ঘন্টায়ও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুািনয়া বাজারের ব্যবসায়ী রাজ্জাক হোসেন দীপু জানান, তাদের গ্রামে সন্ধ্যার পর থেকে পুরো রাতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। দিনের বেলায় থাকে তিন-চার ঘন্টা। তাও একটানা থাকে না।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযাদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন বাদশা বলেন, বিদ্যুতের লোশেডিংয়ে সবাই অতিষ্ট। রাতের বেলায় বিদ্যুৎ থাকেনা বললেই চলে। সারা রাত জেগে থাকতে হয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের বেশি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার বাজার ব্যবস্থা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে মানুষ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হচ্ছে। অস্বাভাবিক লোডশেংিয়ের কারনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্বাভাবিক কাজকর্ম মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুতের শরণখোলা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. আশিক মাহামুদ সুমন বলেন, কয়লা সংকটের কারনে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন তিনের দুই অংশ কমে গেছে। ১৩২০ মেগাওয়াটে এখন উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৩২০ মেগাওয়াট। তাও কয়েকদেিনর মধ্যে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এজিএম আশিক জানান, শরণখোলায় রাতে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সাড়ে ১১ মেগাওয়াট এবং দিনে চাহিদা ৯ মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে দিন ও রাতে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় কম পাওয়া লোঢশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কোনো উপায় নেই।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২-৬-২০২৩ দুপুর ১১:৫০
দিনের বেলায় আসা-যাওয়ার তালে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে ১১টা পর্যন্ত মাঝে মধ্যে উঁকি মারে। রাত গভীর হলেই নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। তখন আর দেখা মেলে না বিদ্যুতের। দিন-রাত মিলিয়ে গড়ে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা চলছে লোডশেডিং। বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতিতে কয়েকদিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটাছে বাগেরহাটের শরণখোলাবাসীর।
একদিকে প্রচন্ড দাপদাহ অন্যদিকে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। উপজেলা সদরে দিন-রাত মিলিয়ে লোডশেডিং ৭ থেকে ৮ ঘন্টা হেলও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। কোনো কোনো গ্রামে ১০ থেকে ১২ ঘন্টায়ও বিদ্যুতের দেখা মিলছে না।
উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের চালিতাবুািনয়া বাজারের ব্যবসায়ী রাজ্জাক হোসেন দীপু জানান, তাদের গ্রামে সন্ধ্যার পর থেকে পুরো রাতে দেড় থেকে দুই ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। দিনের বেলায় থাকে তিন-চার ঘন্টা। তাও একটানা থাকে না।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযাদ্ধা হেমায়েত উদ্দিন বাদশা বলেন, বিদ্যুতের লোশেডিংয়ে সবাই অতিষ্ট। রাতের বেলায় বিদ্যুৎ থাকেনা বললেই চলে। সারা রাত জেগে থাকতে হয়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের বেশি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার বাজার ব্যবস্থা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান বাবুল তালুকদার বলেন, বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতিতে মানুষ সরকারের প্রতি ক্ষুব্ধ হচ্ছে। অস্বাভাবিক লোডশেংিয়ের কারনে ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্বাভাবিক কাজকর্ম মারত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুতের শরণখোলা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. আশিক মাহামুদ সুমন বলেন, কয়লা সংকটের কারনে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন তিনের দুই অংশ কমে গেছে। ১৩২০ মেগাওয়াটে এখন উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ৩২০ মেগাওয়াট। তাও কয়েকদেিনর মধ্যে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এজিএম আশিক জানান, শরণখোলায় রাতে বিদ্যুতের চাহিদা থাকে সাড়ে ১১ মেগাওয়াট এবং দিনে চাহিদা ৯ মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে দিন ও রাতে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে মাত্র ৪ থেকে সাড়ে ৪ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় কম পাওয়া লোঢশেডিং দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া কোনো উপায় নেই।