বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫-৯-২০২৫ রাত ৯:০

বিএসিএল বেস্ট এসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড এর সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের নেতা
বিএসিএল বেস্ট অ্যাসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড-এর আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক জোটের গুলশান থানার সভাপতি নেয়ামুল বসির এবং তার সহযোগী নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মো. আক্তারকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের অভিযোগ, গত ২৩-২৪ সালের অডিট ফাইলেও ২০-২৫ লাখ টাকার দুর্নীতি রয়েছে।
এদিকে, এই নির্বাচনে জাসদের ইনু গ্রুপের আরেক নেতা ওবায়দুল হক চুন্নু পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ক্লাব সদস্যদের মতে, যারা একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে দেশের ক্ষতি করেছিল, তারাই এখন এই সুনামধন্য ক্লাবকে কলুষিত করতে চাইছে। এই প্রক্রিয়ায় তাদের সহযোগিতা করছেন নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মো. আক্তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সদস্য জানান, আক্তার জাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে পরিচিত। তিনি ইনু গ্রুপের একজন সক্রিয় নেতা, যদিও ইনু বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা আরও জানান, নেয়ামুল বসির বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের গুলশান থানার সভাপতি হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাবের সভাপতি পদে তার প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুলশানের মতো স্থানে অবস্থিত এই ক্লাবে এখনো আওয়ামী লীগের আধিপত্য রয়েছে বলেও তারা মনে করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আক্তার ঢাকা ১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং রায়ের বাজার এলাকায় ভূমিদস্যুতায় তার নাম রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার জানান, সাদেক খানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব না থাকলেও তার পাম্পের পাশে একটি বহুতল ভবন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নেয়ামুল বসির বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেউ নন, যদিও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তার সভাপতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্তার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও নেয়ামুল বসিরের পক্ষেই কথা বলছেন। এছাড়া, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে নেয়ামুল বসিরের কাছে বেশ কয়েকজন প্রায় ১৪ কোটি টাকা পাবে, যা তিনি ক্ষমতার দাপটে শোধ করছেন না। এ বিষয়ে আক্তার জানান, এটি বসিরের ব্যক্তিগত ব্যাপার, তবে পাওনা থাকলে তা শোধ করে দেওয়া উচিত।
নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫-৯-২০২৫ রাত ৯:০

বিএসিএল বেস্ট অ্যাসোসিয়েট ক্লাব লিমিটেড-এর আসন্ন নির্বাচন ঘিরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সভাপতি পদপ্রার্থী আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক জোটের গুলশান থানার সভাপতি নেয়ামুল বসির এবং তার সহযোগী নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মো. আক্তারকে কেন্দ্র করে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ক্লাবের কয়েকজন সদস্যের অভিযোগ, গত ২৩-২৪ সালের অডিট ফাইলেও ২০-২৫ লাখ টাকার দুর্নীতি রয়েছে।
এদিকে, এই নির্বাচনে জাসদের ইনু গ্রুপের আরেক নেতা ওবায়দুল হক চুন্নু পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ক্লাব সদস্যদের মতে, যারা একসময় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে দেশের ক্ষতি করেছিল, তারাই এখন এই সুনামধন্য ক্লাবকে কলুষিত করতে চাইছে। এই প্রক্রিয়ায় তাদের সহযোগিতা করছেন নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান মো. আক্তার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সদস্য জানান, আক্তার জাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ হিসেবে পরিচিত। তিনি ইনু গ্রুপের একজন সক্রিয় নেতা, যদিও ইনু বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তারা আরও জানান, নেয়ামুল বসির বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের গুলশান থানার সভাপতি হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাবের সভাপতি পদে তার প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গুলশানের মতো স্থানে অবস্থিত এই ক্লাবে এখনো আওয়ামী লীগের আধিপত্য রয়েছে বলেও তারা মনে করেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আক্তার ঢাকা ১৩ আসনের সাবেক এমপি সাদেক খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং রায়ের বাজার এলাকায় ভূমিদস্যুতায় তার নাম রয়েছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আক্তার জানান, সাদেক খানের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব না থাকলেও তার পাম্পের পাশে একটি বহুতল ভবন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নেয়ামুল বসির বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেউ নন, যদিও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তার সভাপতি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্তার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও নেয়ামুল বসিরের পক্ষেই কথা বলছেন। এছাড়া, বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে নেয়ামুল বসিরের কাছে বেশ কয়েকজন প্রায় ১৪ কোটি টাকা পাবে, যা তিনি ক্ষমতার দাপটে শোধ করছেন না। এ বিষয়ে আক্তার জানান, এটি বসিরের ব্যক্তিগত ব্যাপার, তবে পাওনা থাকলে তা শোধ করে দেওয়া উচিত।