বিশেষ গোষ্ঠী অনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া নোমান গ্রুপের নামে জোর প্রোপাগান্ডা
জামিল আহমেদ
৭-১০-২০২৪ দুপুর ১১:৩২
বিশেষ গোষ্ঠী অনৈতিক সুবিধা নিতে মরিয়া নোমান গ্রুপের নামে জোর প্রোপাগান্ডা
দেশে নব বিপ্লব ঘটার মধ্যদিয়ে কাঙ্খিত পট পরিবর্তনের পর বিশ^ বরেণ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস’এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাভার গ্রহণ করার পর উপদেষ্টা মন্ডলি গঠন করে দেশ পরিচালনা করছেন। দেশ বরেণ্য বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী পেশাজীবীদের নিয়ে সময় উপযোগি সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে দেশ।
ঠিক এমন’ই সময় একটি শ্রেণি প্রচার মাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে একটি ঘৃণ সুবিধাভোগী কুচক্রী মহল কখনও উপদেষ্টাদের বিভিন্ন নসিহত, কখনও বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কুৎসা রটিয়ে বিভিন্নভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টায় মত্ত হয়ে আছেন। তারা দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকার ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
ঘৃণ সুবিধাভোগী চক্রটি এবার পিছু নিয়েছে দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপের। ৩৬ টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত দেশে সেরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের আবাসস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের তথা নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের নামে বিভিন্ন মিথ্য বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ঘৃণ সুবিধাভোগী ওই চক্রটি। নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের ‘সিআইপি’ও বটে।
বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় ওই চক্রটি জামায়াত-বিএনপি’র লোক বলে যেমন অপপ্রচার ও হয়রানি করেছে, বর্তমান সময়ে একইভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের লোক বলে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা তথাকথিত ব্যাংক জালিয়াতির একটি ফিরিস্তি একটি পত্রিকায় তুলে ধরেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা অপপ্রচারে যোগ কেরেছে যে, সোনালী ব্যাংক থেকে ২ হাজার কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ২৫শ’ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২৫শ’ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক থেকে ১৫শ’ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক থেকে ১২শ’ কোটি টাকা,প্রাইম ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকা, সিটি ব্যাংক থেকে ৫শ’ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংক তেকে ৫শ’ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে ৫শ’ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১২শ’ কোটি টাকা, আলআরাফা ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ৫শ’ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৭শ’ কোটি টাকা নোমান গ্রুপের প্রতিষ্ঠানে নেয়া হয়েছে।
অথচ এসকল তথ্য মিথ্যা সংমিশ্রিত। বাস্তবে সোনালী ব্যাংকে কোনো হিসাব নেই। সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংকে কোনো লোন নেই। ব্যক্তি মালিকানাধীন অন্যের সম্পত্তি, বা সরকারি সম্পত্তি বন্ধক রেখে হাতিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগও করা হয়েছে। হয়রানিমূলক মিথ্যা বনোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (স্মারক নং-০০.০১.০০০০/৪০৪.০১.০১০১.২২) তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে মহামান্য হাইকোর্ট বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তটি স্থগিত রাখে।
দেশের একজন স্বনামধন্য ‘সিআইপি’ ব্যবসায়ি দেশের ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। মেহমান হিসেবে তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের অনুষ্ঠানে অন্যান্য ব্যবসায়িদের মত যোগ দিতেন। এখানে রাজনীতি মুখ্য নয়, এইসব অনুষ্ঠানে আমাদের সাথে আগ্রহের সাথে ইনকিলাবের সম্পাদক: এ এম এম বাহাউদ্দীন যোগ দিতেন, প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক: মতউির রহমান, ডেইলি স্টারের সম্পাদক সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান চৌধুরী ছাড়াও আরোও অনেক সম্পাদক যোগ দিতেন। অথচ কুচক্রি মহলটি এটাকে অপরাধ হিসেবে অপপ্রচার চালিয়েছে।
এদিকে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি একটি দৈনিকে দেখলাম আমার প্রতিষ্ঠান ও আমার বিরুদ্ধে নিউজ হয়েছে। এই নিউজে হলুদ সাংবাদিকতার পুরো ব্যাকরণ জানা গেল, একটি মানুয়ের সন্মন্ধে মিথ্যা সাংবাদিকতা কতভাবে করা যায় এই সংবাদে দেখলাম ও মজা পেলাম এবং জানলাম তথাকথিত সাংবাদিক মহান পেশা সাংবাদিকতাকে কত নিকৃষ্ট করতে পারে।
মো. নূরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ‘সিআইপি’ মানুষ আমি কোনো রাজনীতি করিনা আমি জানিও না, এটা আমার পেশা নয় আমার পেশা ও নেশা শুধু মাত্র ব্যবসা। আমি প্রতি বছর সরকারকে রাজস্ব দিয়ে থাকি। ব্যবসায়িক কারণে ব্যাংক লোন আমাকে নিতে হয়, একটি ব্যাংক লোন পেতে হলে কত প্রকারের কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হয়, কত যাচাই বাছাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ করেন এটা সকলেরই জানা। এখান থেকে একটি টাকা অবৈধবাবে নেয়া অবাস্তব। আমি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল-সহ সামাজিকভাবে সমাজে বিভিন্ন ভালোকাজে আর্থিকভাবে সহয়তা করে থাকি। এছাড়ায় দেশে যেকোনো প্রান্তরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক না কেন আমার সহয়তার হাত সেখানে পৌছে যায়।
এসব অপরাধ হল কীভাবে ? সাংবাদিকতার কোন জায়গায় এটা অপরাধ বলা হয় প্রকৃত সাংবাদিকদের কাছে আমার প্রশ্ন। আমি সব সময় একজন ব্যবসায়ি তাই আমাকে বাস্তবতার সাথে চলতে হয়, রাজনীতির সাথে নয়, আমি রাজনীতি জানিনা। আমাকে হাজার হাজার শ্রমিকের মুখের দিকে তাকিয়ে সকলের আহারের জন্য কাজ করতে হয়।
আমি একজন সামাজিক জীব আমার বাসায় মেহমান হিসেবে আমার আত্মীয় স্বজন আসবেন এবং আমার লেভেলের সঙ্গী সাথীরা আসবেন, আমার ব্যবসায়িরা আসবেন, এমপি মন্ত্রীরা আসবেন এবং আমিও বেড়াতে যাবো, এটা তো কোনো দোষের কিছু নেই। আত্মীয়তার সূত্র ধরে আমার বাসায় ধর্মমন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম.খালিদ হোসেন আসলে এটা তো খুশীর বিষয় কারণ মেহমান আল্লাহর রহমত স্বরূপ আল্লাহর তরফ থেকে আসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দেখতে হাসপাতালে যাই, কারণ আমারও সন্তান আছে। আমি একজন বাবা হিসেবে বিবেকের তাড়নায় আমার সন্তানতূল্য সমন্বয়কদের ভালোবাসার অনুভূতি থেকে তাদের খোজ খবর নিয়ে থাকি এবং নিজেই দেখতে যাই।
নোমান গ্রুপের এই চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে ওই কুচক্রি মহল আমাকে জামায়াত-বিএনপি বানিয়ে আওয়ামী লীগ দ্বারা যেভাবে হেনস্ত হয়রানি ও ক্ষতি সাধন করেছে, ঠিক একই কায়দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাভার গ্রহণ করার পর এখন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের লোক হিসেবে চিত্রায়িত করে আগের সেই একই রকম হেনস্ত হয়রানি ও ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা সবসময় হলুদ সাংবাদিকদের লেলিয়ে দিয়ে আমাকে আমার পরিবারকে আমার প্রতিষ্ঠান সমূহকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা আমাদের ক্ষতি করতে বিভিন্ন কিছুর আশ্রয় নিয়ে থাকে। এখন আমার উপায় কী ?
আমাকে মামলাবাজ হিসেবে আখায়িত করা হয়েছে, ওই ভুয়া সংবাদে। আমি যেভাবে ওই কুচক্রি মহলের একর পর এক চক্রান্তে আক্রান্ত হয়েছি এবং হয়ে আসছি এসময় আমি আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া কী উপায় আছে ? আমার সব কিছু আপনাদের ভাবনায় ছেড়ে দিলাম।
এদিকে দেশের অপরাধ বিষয়ক বিশ্লেষক বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রদীপ কুমার বলেন, বর্তমান বিশ^ বরেণ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস’এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার নিয়ে উদারপন্থায় দেশ পরিচালনা করছেন। আমরা দেখছি এই সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ও তাদের ঘরানার সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য পেশার তাদের লোকজন যে যার অবস্থান থেকে ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে আছে। সম্প্রতি হাসিনার ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ডে তার বক্তব্যে ঠিক একই রকমের প্রতিফলন হতে দেখা যাচ্ছে। আর এতে সবচেয়ে বেশী কাজ করছে কিছু ইউটিবার ও হলুদ সাংবাদিকরা। এদের কাজ হচ্ছে দেশের পুলিশ প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আমলাদের প্রশ্নবিদ্ধ করা, সরকারি পদস্ত কর্মকর্তাসহ বিশেষ করে ব্যবসায়িদের প্রশ্নবিদ্ধ করা। এতে সাধারণ মানুষের মনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে এবং দেশে বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে।
আসলে ওই শ্রেণির সাংবাদিকদের উপর নজর রাখা প্রয়োজন। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নেতা ও দোসরদের বর্তমান এজেন্ডা হচ্ছে সম্প্রতি বিপ্লবে যুবাদের তাজা রক্তের বিনিময় অর্জিত স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা। এখন এদের হাত থেকে অর্থবহ বিপ্লবকে টিকিয়ে রাখতে হবে। কারণ লড়াই শেষ হয়নি এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং পুলিশ প্রশাসন, সরকারি কর্মকর্তা, ডাক্তার, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ ব্যবসায়িদের সহয়তা করতে হবে। বিশেষ করে বরেণ্য ব্যবসায়ি মো. নূরুল ইসলামের মত লোক যিনি নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান, তাদের মত আরো অনেক ব্যবসায়িকদের এখন ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ও সহয়তা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও সহয়তা একান্তই প্রয়োজন।
জামিল আহমেদ
৭-১০-২০২৪ দুপুর ১১:৩২
দেশে নব বিপ্লব ঘটার মধ্যদিয়ে কাঙ্খিত পট পরিবর্তনের পর বিশ^ বরেণ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস’এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাভার গ্রহণ করার পর উপদেষ্টা মন্ডলি গঠন করে দেশ পরিচালনা করছেন। দেশ বরেণ্য বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী পেশাজীবীদের নিয়ে সময় উপযোগি সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে দেশ।
ঠিক এমন’ই সময় একটি শ্রেণি প্রচার মাধ্যমকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে একটি ঘৃণ সুবিধাভোগী কুচক্রী মহল কখনও উপদেষ্টাদের বিভিন্ন নসিহত, কখনও বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কুৎসা রটিয়ে বিভিন্নভাবে ফায়দা লোটার চেষ্টায় মত্ত হয়ে আছেন। তারা দেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালিন সরকার ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।
ঘৃণ সুবিধাভোগী চক্রটি এবার পিছু নিয়েছে দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নোমান গ্রুপের। ৩৬ টি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত দেশে সেরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের আবাসস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের তথা নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের নামে বিভিন্ন মিথ্য বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ঘৃণ সুবিধাভোগী ওই চক্রটি। নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের ‘সিআইপি’ও বটে।
বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় ওই চক্রটি জামায়াত-বিএনপি’র লোক বলে যেমন অপপ্রচার ও হয়রানি করেছে, বর্তমান সময়ে একইভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের লোক বলে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা তথাকথিত ব্যাংক জালিয়াতির একটি ফিরিস্তি একটি পত্রিকায় তুলে ধরেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা অপপ্রচারে যোগ কেরেছে যে, সোনালী ব্যাংক থেকে ২ হাজার কোটি টাকা, ইসলামী ব্যাংক থেকে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা, ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে ২৫শ’ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক থেকে ২৫শ’ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক থেকে ১৫শ’ কোটি টাকা, স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক থেকে ১২শ’ কোটি টাকা,প্রাইম ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকা, সিটি ব্যাংক থেকে ৫শ’ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংক তেকে ৫শ’ কোটি টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে ৫শ’ কোটি টাকা, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১২শ’ কোটি টাকা, আলআরাফা ইসলামী ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি টাকা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ৫শ’ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৭শ’ কোটি টাকা নোমান গ্রুপের প্রতিষ্ঠানে নেয়া হয়েছে।
অথচ এসকল তথ্য মিথ্যা সংমিশ্রিত। বাস্তবে সোনালী ব্যাংকে কোনো হিসাব নেই। সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংকে কোনো লোন নেই। ব্যক্তি মালিকানাধীন অন্যের সম্পত্তি, বা সরকারি সম্পত্তি বন্ধক রেখে হাতিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার মিথ্যা অভিযোগও করা হয়েছে। হয়রানিমূলক মিথ্যা বনোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) (স্মারক নং-০০.০১.০০০০/৪০৪.০১.০১০১.২২) তদন্ত চালাচ্ছিল। পরে মহামান্য হাইকোর্টের শরণাপন্ন হলে মহামান্য হাইকোর্ট বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তটি স্থগিত রাখে।
দেশের একজন স্বনামধন্য ‘সিআইপি’ ব্যবসায়ি দেশের ও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। মেহমান হিসেবে তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীদের অনুষ্ঠানে অন্যান্য ব্যবসায়িদের মত যোগ দিতেন। এখানে রাজনীতি মুখ্য নয়, এইসব অনুষ্ঠানে আমাদের সাথে আগ্রহের সাথে ইনকিলাবের সম্পাদক: এ এম এম বাহাউদ্দীন যোগ দিতেন, প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক: মতউির রহমান, ডেইলি স্টারের সম্পাদক সম্পাদক মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক: মতিউর রহমান চৌধুরী ছাড়াও আরোও অনেক সম্পাদক যোগ দিতেন। অথচ কুচক্রি মহলটি এটাকে অপরাধ হিসেবে অপপ্রচার চালিয়েছে।
এদিকে নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. নূরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি একটি দৈনিকে দেখলাম আমার প্রতিষ্ঠান ও আমার বিরুদ্ধে নিউজ হয়েছে। এই নিউজে হলুদ সাংবাদিকতার পুরো ব্যাকরণ জানা গেল, একটি মানুয়ের সন্মন্ধে মিথ্যা সাংবাদিকতা কতভাবে করা যায় এই সংবাদে দেখলাম ও মজা পেলাম এবং জানলাম তথাকথিত সাংবাদিক মহান পেশা সাংবাদিকতাকে কত নিকৃষ্ট করতে পারে।
মো. নূরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ‘সিআইপি’ মানুষ আমি কোনো রাজনীতি করিনা আমি জানিও না, এটা আমার পেশা নয় আমার পেশা ও নেশা শুধু মাত্র ব্যবসা। আমি প্রতি বছর সরকারকে রাজস্ব দিয়ে থাকি। ব্যবসায়িক কারণে ব্যাংক লোন আমাকে নিতে হয়, একটি ব্যাংক লোন পেতে হলে কত প্রকারের কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হয়, কত যাচাই বাছাই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ করেন এটা সকলেরই জানা। এখান থেকে একটি টাকা অবৈধবাবে নেয়া অবাস্তব। আমি প্রধানমন্ত্রীর তহবিল-সহ সামাজিকভাবে সমাজে বিভিন্ন ভালোকাজে আর্থিকভাবে সহয়তা করে থাকি। এছাড়ায় দেশে যেকোনো প্রান্তরে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক না কেন আমার সহয়তার হাত সেখানে পৌছে যায়।
এসব অপরাধ হল কীভাবে ? সাংবাদিকতার কোন জায়গায় এটা অপরাধ বলা হয় প্রকৃত সাংবাদিকদের কাছে আমার প্রশ্ন। আমি সব সময় একজন ব্যবসায়ি তাই আমাকে বাস্তবতার সাথে চলতে হয়, রাজনীতির সাথে নয়, আমি রাজনীতি জানিনা। আমাকে হাজার হাজার শ্রমিকের মুখের দিকে তাকিয়ে সকলের আহারের জন্য কাজ করতে হয়।
আমি একজন সামাজিক জীব আমার বাসায় মেহমান হিসেবে আমার আত্মীয় স্বজন আসবেন এবং আমার লেভেলের সঙ্গী সাথীরা আসবেন, আমার ব্যবসায়িরা আসবেন, এমপি মন্ত্রীরা আসবেন এবং আমিও বেড়াতে যাবো, এটা তো কোনো দোষের কিছু নেই। আত্মীয়তার সূত্র ধরে আমার বাসায় ধর্মমন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ.ফ.ম.খালিদ হোসেন আসলে এটা তো খুশীর বিষয় কারণ মেহমান আল্লাহর রহমত স্বরূপ আল্লাহর তরফ থেকে আসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দেখতে হাসপাতালে যাই, কারণ আমারও সন্তান আছে। আমি একজন বাবা হিসেবে বিবেকের তাড়নায় আমার সন্তানতূল্য সমন্বয়কদের ভালোবাসার অনুভূতি থেকে তাদের খোজ খবর নিয়ে থাকি এবং নিজেই দেখতে যাই।
নোমান গ্রুপের এই চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে ওই কুচক্রি মহল আমাকে জামায়াত-বিএনপি বানিয়ে আওয়ামী লীগ দ্বারা যেভাবে হেনস্ত হয়রানি ও ক্ষতি সাধন করেছে, ঠিক একই কায়দায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতাভার গ্রহণ করার পর এখন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের লোক হিসেবে চিত্রায়িত করে আগের সেই একই রকম হেনস্ত হয়রানি ও ক্ষতি সাধন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা সবসময় হলুদ সাংবাদিকদের লেলিয়ে দিয়ে আমাকে আমার পরিবারকে আমার প্রতিষ্ঠান সমূহকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। তারা আমাদের ক্ষতি করতে বিভিন্ন কিছুর আশ্রয় নিয়ে থাকে। এখন আমার উপায় কী ?
আমাকে মামলাবাজ হিসেবে আখায়িত করা হয়েছে, ওই ভুয়া সংবাদে। আমি যেভাবে ওই কুচক্রি মহলের একর পর এক চক্রান্তে আক্রান্ত হয়েছি এবং হয়ে আসছি এসময় আমি আইনের আশ্রয় নেয়া ছাড়া কী উপায় আছে ? আমার সব কিছু আপনাদের ভাবনায় ছেড়ে দিলাম।
এদিকে দেশের অপরাধ বিষয়ক বিশ্লেষক বিশিষ্ট সাংবাদিক প্রদীপ কুমার বলেন, বর্তমান বিশ^ বরেণ্য ড. মুহাম্মদ ইউনূস’এর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার নিয়ে উদারপন্থায় দেশ পরিচালনা করছেন। আমরা দেখছি এই সরকারকে বিভ্রান্ত করার জন্য আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ও তাদের ঘরানার সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী এবং অন্যান্য পেশার তাদের লোকজন যে যার অবস্থান থেকে ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে আছে। সম্প্রতি হাসিনার ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ডে তার বক্তব্যে ঠিক একই রকমের প্রতিফলন হতে দেখা যাচ্ছে। আর এতে সবচেয়ে বেশী কাজ করছে কিছু ইউটিবার ও হলুদ সাংবাদিকরা। এদের কাজ হচ্ছে দেশের পুলিশ প্রশাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, আমলাদের প্রশ্নবিদ্ধ করা, সরকারি পদস্ত কর্মকর্তাসহ বিশেষ করে ব্যবসায়িদের প্রশ্নবিদ্ধ করা। এতে সাধারণ মানুষের মনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে এবং দেশে বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে।
আসলে ওই শ্রেণির সাংবাদিকদের উপর নজর রাখা প্রয়োজন। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের নেতা ও দোসরদের বর্তমান এজেন্ডা হচ্ছে সম্প্রতি বিপ্লবে যুবাদের তাজা রক্তের বিনিময় অর্জিত স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা। এখন এদের হাত থেকে অর্থবহ বিপ্লবকে টিকিয়ে রাখতে হবে। কারণ লড়াই শেষ হয়নি এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং পুলিশ প্রশাসন, সরকারি কর্মকর্তা, ডাক্তার, বিভিন্ন পেশাজীবীসহ ব্যবসায়িদের সহয়তা করতে হবে। বিশেষ করে বরেণ্য ব্যবসায়ি মো. নূরুল ইসলামের মত লোক যিনি নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান, তাদের মত আরো অনেক ব্যবসায়িকদের এখন ব্যবসায়িক নিরাপত্তা ও সহয়তা এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও সহয়তা একান্তই প্রয়োজন।